নায়িকা রাকা বিশ্বাস (২২)। সম্প্রতি ‘প্রেমের কেন ফাঁসি’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র অভিষেক। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন কারণে আলোচিত। এবার নিজের পরকীয়ার কথা নিজেই ফাঁস করলেন তিনি। এই নিয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার পর নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত প্রডাকশন হাউজ রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়জুল ইসলাম শাহিনের (৫০) সঙ্গে রাকার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এমন কী ‘প্রেমের কেন ফাঁসি’ ছবির পরিচালক আবু সুফিয়ান ঠিক মতো শুটিং করতে পারছিলেন না শাহিনের জন্য। শাহিন সেখানে হাজির হয়ে শুটিংয়ে বাগড়া দিতেন এবং প্রকাশ্যেই রাকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি তুলতেন। এর আগেও অনেক নায়িকার সঙ্গে তাঁর এমন সম্পর্ক হয়েছিল বলে জানা যায়।
নায়িকা রাকা বিশ্বাস গতকাল রাতে তাঁর ফেসবুকে নিজের ছয়টি ছবি প্রকাশ করে লিখেন, এভাবে নির্যাতন করে মেরেছে শাহিনের ফ্যামেলি মেম্বার্স এবং শাহিন ভাইয়ের বউও মেরেছে। শুধু শাহিনকে কয়েকদিন মোবাইলে না পেয়ে খুঁজতে গিয়েছিলাম বাসায়, তাই এই পরিণতি আমার। শাহিনের বড় মেয়ে আমাকে বটি দিয়ে মারতে আসে আর খুব খারাপভাবে গালিগালাজ করে। আমার আব্বু নেই। তাই আমি পুলিশের কাছে না গিয়ে আপনাদের জানিয়ে রাখলাম। ভালোবেসে এই প্রতিদান পেলাম এবং সব থেকে সত্যি এই যে সব কিছু হয়েছে শাহিনের প্ল্যানিংয়ে। সিঁড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে যখন ফেলে দিসে, অর্ধেক গিয়ে যদি আটকে না যেতাম নিচে পর্যন্ত পড়তাম, তা হলে হয়তো ওখানেই মারা যেতাম। থাপ্পর তো অনেকগুলোই খেয়েছি।
শাহিন এক বছর আগে আমার পেছনে ঘুরে ঘুরে বিয়ে করার প্রমিজ করে আমাকে কনভিন্স করেছে। নিজের বউ মেয়ে সম্পর্কে অনেক বাজে কথা বলেছে। বলেছে, সে সুখি নয়। মায়া হয়েছিল, ভালোবেসে ছিলাম, এটাই আমার অপরাধ। এসব লোকদের বউরা হাজবেন্ডকে কন্ট্রোল করতে পারে না, আর যে মেয়েদের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয় সেই মেয়ে খারাপ। শাহিন আমার পেছনে এক টাকাও খরচ করেনি। যদি করতে হয়, তাই বউকে দিয়ে ব্যাংক থেকে সব টাকা উঠিয়ে নিয়েছিল। আর বসে বসে আমারটা খেয়েছে, পরেছে। আর আমি তার অভিনয়কে সত্যি মনে করে পাগলের মতো ভালোবেসেছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়জুল ইসলাম শাহিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নায়িকা রাকা বিশ্বাসও ফোন বন্ধ রেখেছেন।